নিজস্ব প্রতিনিধি::২৭ ফেব্রুয়ারি
নগরীর চান্দগাঁও আবাসিক এলাকার ‘শিক্ষাশালা’ নামের কোচিং সেন্টারে ধর্ষণের শিকার এসএসসি পরীক্ষার্থীর মৃত্যু হয়েছে বলে বিভিন্ন গণমাধ্যম সূত্রে জানা গেছে।
গত রোববার (২৫ ফেব্রুয়ারি) সকাল সাড়ে নয়টার দিকে চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের আইসিইউতে তার মৃত্যু হয়।
১৪ ফেব্রুয়ারি রাতে ঘুমের ওষুধ খেয়ে গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়লে ১৫ ফেব্রুয়ারি তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল।পুলিশ জানিয়েছে, ঐ ছাত্রীকে হাসপাতালে ভর্তি করার পর তার বাবা চান্দগাঁও থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।
জোরপূর্বক ধর্ষণের অভিযোগে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের মামলায় আসামি করা হয় কক্সবাজারের মহেশখালীর পশ্চিম পাড়ার বাবুল মিয়ার ছেলে হামিদ মোস্তফা জিসান (২১)-কে, যিনি কোচিং সেন্টারের শিক্ষক ও প্রশিক্ষক- পরিচালক।
ছাত্রী অন্তঃসত্ত্বা ছিল। ১৭ ফেব্রুয়ারি শিক্ষককে গ্রেপ্তার করে একদিনের রিমান্ড শেষে কারাগারে পাঠানো হয়।
মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়েছে, ওই শিক্ষার্থী কয়েকমাস ধরে চান্দগাঁও আবাসিক এলাকার ১১ নম্বর রোডের শিক্ষাশালা কোচিং সেন্টারে প্রাইভেট পড়ে আসছে। এই সুযোগে কোচিং সেন্টারের শিক্ষক ও মামলার আসামি জিসান তাকে প্রেমের ফাঁদে ফেলে গত বছরের ১৭ ডিসেম্বর কোচিং সেন্টারের ভেতরে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে। এসময় আপত্তিকর অবস্থায় ছবিও ধারণ করা হয়। পরবর্তীতে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে বিভিন্ন স্থানে নিয়ে তার সাথে কয়েক দফায় শারীরিক সম্পর্ক স্থাপন করা হয়।
এক পর্যায়ে ঐ শিক্ষার্থী অসুস্থবোধ করলে তাকে চমেক হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা অন্তঃসত্ত্বা বলে জানান।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা উপ-পরিদর্শক মো. জসিম উদ্দিন বলেন, ঘুমের ওষুধ খেয়ে অসুস্থ হয়ে পড়ায় ধর্ষিতাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল।
তাই জবানবন্দি নেওয়া যায়নি। চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়েছে বলে চমেক হাসপাতালের মর্গে রিপোর্ট সূত্রে জানা গেছে।