মোঃ রুবেল বেপারী : পবিত্র মাহে রমজান শুরু হয়েছে। ধর্মপ্রাণ মুসলমানেরা নিজেদের পরিবার পরিজন নিয়ে পবিত্র রমাদানকে পালিত করার আগ্রহে পাড়া-মহল্লার বাজারগুলোতে নিত্যপণ্য কেনাকাটায় ব্যস্ত সময় পার করছেন, তবে, পণ্যের চড়া দামে হাঁসফাঁস সাধারণ মানুষের। অবৈধ সিন্ডিকেট ব্যবসায়ীদের লাগামহীন দামে রমজানের জন্যে প্রয়োজনীয় সদাই ক্রয়ে হিমশিম খাচ্ছেন নিম্নবিত্তরা। কিন্তু খুচরা ব্যবসায়ীদের ভাষ্যমতে, পাইকারিতে বেশি কেনার ফলে তারাও বেশিতে বিক্রি করছেন।
সরেজমিনে দেখা গেছে, প্রথম রোজার দিনে এখানকার বাজার থেকে শুরু করে পাড়া-মহল্লার দোকানে ভিড় করছেন ক্রেতারা। কিন্তু পণ্যের অধিক দাম হওয়ায় প্রয়োজনের চেয়েও কম পণ্য নিয়ে বাজার থেকে বাসায় ফিরছেন তারা। বিশেষ করে বিপাকে পড়ছেন নিম্নবিত্তরা। প্রয়োজনীয় জিনিস কিনতে দিন আনা দিন খাওয়া মানুষদের ঘুরতে হচ্ছে বহু দোকান।
দোকান ঘুরে জানা গেছে, রমাদান উপলক্ষে প্রয়োজনীয় পণ্যের মধ্যকার বুটের মূল্য ১১০ টাকা, চিনি ১৪০ টাকা, ডাল ১৪০ টাকা, মুড়ি ৮০ টাকা।
পেঁয়াজ ৮০-৯০ টাকা, আলু ৪০ টাকা, রসুন ১৫০-১৬০ টাকা, আদা ২০০ টাকা, লেবুর হালি ৭০-৮০ টাকা, শসা ৮০ টাকা, বেগুন ৮০-৯০ টাকা, টমেটো ৪০ টাকা,
গরুর মাংসের দাম ৭৫০ টাকা, বয়লার মুরগী ২২০ টাকা এবং কক ৩২০-৩৪০ টাকা ধরে বিক্রি হচ্ছে।
ফলের মধ্যে খেজুর ২৮০ থেকে ১৫’শ দরে, আপেল ৩৫০, মাল্টা ৩৬০, নাশপতি ৩০০, আনাড় ৩৫০ টাকায়।
সিরাজদিখান বাজারে এসেছেন কাউসার দেওয়ান। কেমন বাজার করা হয়েছে জিজ্ঞেস করলে জানিয়েছেন, ১২’শ টাকা নিয়ে বাজারে এসে মুরগী কিনতে ব্যর্থ হয়েছেন। সবজি, বুট এবং তেল কিনতেই তার বাজেট শেষ। তাই বিকালে আবারও এসে বাকি সদাই কিনবে।
ফল কিনতে আসা মাওলানা নাজির হোসেন নামের এক ক্রেতা বলেন, রমজানকে কেন্দ্র করে অতি প্রয়োজনীয় লেবু এবং বেগুনের অধিক মূল্য রাখছেন দোকানদাররা। আপেলের এবং মাল্টা কিনতে এসে অবাক হলাম। মূল্য না কমালে সামনে আমাদের জন্য কষ্টকর হয়ে যাবে।
এদিকে দোকানিতের ভাষ্য, তারা খুচরা ব্যবসায়ী। পাইকাররা বেশি মূল্যে তাদের থেকে বিক্রি করাতে তারাও ক্রেতাদের কাছে চড়া মূল্যে বিক্রি করে। তাদের কোনো সিন্ডিকেট নেই।