সিরাজদিখানে ইউপি সদস্যের বিরুদ্ধে ফসলি জমির মাটি কেটে ইট ভাটার বিক্রির অভিযোগ!
সিরাজদিখান প্রতিনিধিঃ
মুন্সিগঞ্জের সিরাজদিখানে ফসলি জমির মাটি কেটে বিক্রির অভিযোগ উঠেছে বালুচর ৩ নং ওয়ার্ড ইউপি সদস্য ফারুক হোসেনসহ স্থানীয় একটি সিন্ডিকেটের আরো বেশ কয়েক জনের বিরুদ্ধে। উপজেলার বালুচর ইউনিয়নের পানিয়ার চর (নামাপাড়া) আশ্রয়ন প্রকল্প সংলগ্ন প্রায় ৮০ শতাংশ সমপরিমাণ একটি ফসলি জমি কেটে সপ্তাহ খানেক ধরে পার্শ্ববর্তী বেশ কয়েকটি ইট ভাটায় বিক্রিসহ ইউপি সদস্যের নিজ মালিকানা একটি ইট ভাটায় নিয়ে উঠাচ্ছেন ইউপি সদস্য ফারুক হোসেন ও তার সিন্ডিকেটের সদস্যরা। সরেজমিনে গিয়ে জানা যায়, বালুচর ইউনিয়নের পানিয়ার চর (নামাপাড়া) আশ্রয়ন প্রকল্পের উত্তর দিকে অবস্থিত প্রায় ৮০ শতাংশ একটি বিশালাকারের ফসলী জমির মাটি ভেকু দিয়ে কেটে মাহেন্দ্রা যোগে ইউপি সদস্যের নিজ মালিকানা ইট ভাটাসহ আশপাশের বেশ কয়েকটি ইট ভাটায় বিক্রি করা হচ্ছে। প্রায় সপ্তাহ খানেক সময় ধরে চলছে মাটির কাটার এ অবৈধ কর্মযজ্ঞ। প্রকাশ্যে ফসলি জমির মাটি অবাধে বিক্রি করা হলেও প্রশাসনিক ভাবে তাদের বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে না মর্মে অভিযোগ স্থানীয়দের। এদিকে বেশ কয়েকজন স্থানীয় প্রভাবশালী নেতা মাসওয়ারা নিয়ে অভিযুক্ত ওই ইউপি সদস্য সহ তার সিন্ডিকেটের সদস্যদের মাটি কেটে বিক্রিতে সাহায্য সহযোগীতা করছেন মর্মেও অভিযোগ উঠেছে। স্থানীয় এলাকাবাসীর সাথে কথা বলে জানা যায়, জমির শ্রেণী পরিবর্তন ব্যতিরেখে নিয়ম নীতির কোন প্রকার কোন প্রকার তোয়াক্কা না করেই ফসলী জমির মাটি কেটে বিক্রির সিন্ডিকেটের প্রধান হিসেবে নেতৃত্ব দিচ্ছে বালুচর ৩ নং ওয়ার্ড ইউপি সদস্য ফারুক হোসেন। দিন দুপুরে ফসলি জমির মাটি বিক্রি করে কোটি টাকা হাতিয়ে নিলেও প্রশাসনিক ভাবে তাদের বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে না মর্মে অভিযোগ স্থানীয় এলাকাবাসীর। ফসলি জমি কেটে মাটি বিক্রি বন্ধে স্থানীয় লোকজন প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামণা করেন। অভিযুক্ত বালুচর ৩ নং ওয়ার্ড ইউপি সদস্য ফারুক হোসেন মুঠোফোনে বলেন, আমি কোন মাটি কাটি না। অন্য মানুষে কাটে। আপনি মাটি কাটেন না কিন্তু ফসলি জমির মাটি আপনার ইট ভাটায় নিচ্ছেন কেন? এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি আরো বলেন, মাটি ছাড়া কি ইট হয়। তাই আমি ইট বানানোর জন্য মাটি কিনে নিচ্ছি। এ বলে তিনি প্রতিবেদককে চায়ের নিমন্ত্রণের মাধ্যমে সংবাদটি যাতে প্রকাশ না পায় সে জন্য ম্যানেজের চেষ্টা করে ব্যর্থ হন। উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) উম্মে হাবিবা ফারজানাকে বিষয়টি অবগত করা হলে তিনি বলেন, বিষয়টি জানা ছিলো না। আপনার মাধ্যমে জানলাম। তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।