বিদায় নিলেন সহকারী পুলিশ সুপার (সিরাজদিখান সার্কেল) মোস্তাফিজুর রহমান রিফাত!
সিরাজদিখান প্রতিনিধিঃ
মুন্সিগঞ্জের সিরাজদিখান ও টংগীবাড়ী থানার সুপারভিশনের দায়িত্বে থাকা সহকারী পুলিশ সুপার (সিরাজদিখান সার্কেল) মোস্তাফিজুর রহমান রিফাতের বদলী হয়েছে। বাংলাদেশ সরকারের অধিনস্থ জাইকা’র অধীনে জে.ডি.এস স্কলারশিপের জন্য চলতি বছরের আগষ্টে জাপানে যাওয়ার সুবাদে তাকে বাংলাদেশ পুলিশ হেডকোয়ার্টারে বদলি করা হয়। তিনি ১ বছর ১০ মাস ৩ দিন সিরাজদিখান সার্কেলের দায়িত্ব নিষ্ঠা ও সততার সাথে পালন করেন। তিনি দুই থানার দায়ীত্বে থাকাকালীন সময়ে ১০ টি’র বেশি গাজা গাছসহ অতীতের যেকোন সময়ের তুলনায় সর্বোচ্চ মাদক উদ্ধারসহ সিরাজদিখান উপজেলার চরাঞ্চল তথা বালুচর ও লতব্দীতে দীর্ঘদিন ধরে চলে আসা টেঁটা যুদ্ধের অবসানের লক্ষ্যে সেসব এলাকায় পুলিশি সেবা জোরদার করার পিছনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করা সহ সিরাজদিখান ও টংগীবাড়ী থানার আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির স্বাভাবিক রাখতে অগ্রনি ভূমিকা পালন করেন। এছাড়া তিনি টংগীবাড়ী উপজেলার বালিগাও বাজারে ডাকাতি মামলা’র আসামী গ্রেফতার পূ্র্বক স্থানীয় জনসাধারনের ভূয়সী প্রসংশা অর্জন করেন।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, সহকারী পুলিশ সুপার (সিরাজদিখান সার্কেল) মোস্তাফিজুর রহমান রিফাত অত্যান্ত সৎ এবং নিষ্ঠাবান পুলিশ কর্মকর্তা হিসেবে সিরাজদিখান ও টংগীবাড়ী উপজেলার জনসাধারণের সেবায় নিয়োজিত ছিলেন। তিনি পুলিশি সেবাকে জনসাধারণের দৌড় গোড়ায় পৌঁছে দিতে নানা মূখী উদ্যোগ গ্রহন করেন। সিরাজদিখান উপজেলা রাজনৈতিক, সামাজিক সংগঠন ও বিভিন্ন শ্রেনীপেশার মানুষের সাথে কথা বলে জানা যায়, তার মত সৎ মানুষ পুলিশে খুব কমই দেখেছেন তারা। তিনি যে ভাবে চলাফেরা করতেন তাতে বোঝার কোন উপায় নেই যে তিনি একজন সহকারী পুলিশ সুপার। এছাড়া তার আচার আচরণ দেখে কারো মনেই হবে না যে তিনি একজন পুলিশ কর্মকর্তা। বাংলাদেশ পুলিশে বেনজীর আহমেদের মত দূর্ণীতিগ্রস্থ পুলিশ কর্মকর্তাদের জন্য পুলিশের যেখানে সুনাম ক্ষুন্ন হয় সেখানে সহকারী পুলিশ সুপার মোস্তাফিজুর রহমান রিফাতের মত সৎ ও নিষ্ঠাবান পুলিশ কর্মকর্তাদের সৎ ও জণসেবামূলক কার্যক্রমের জন্যও পুলিশের প্রতি জণসাধারণের সম্মানকে অনন্য এক উচ্চতায় নিয়ে যায়। এদিকে গতকাল শনিবার সহকারী পুলিশ সুপার মোস্তাফিজুর রহমান রিফাত তার শেষ কার্যদিবস শেষে সিরাজদিখান সার্কেলে ফেইসবুক থেকে একটি ভিডিও পোস্ট করেন। ভিভিও পোষ্টের মাধ্যমে তিনি সিরাজদিখান ও টংগীবাড়ী উপজেলার জণসাধণের কাছ থেকে বিদায় নেওয়ার পাশাপাশি তাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা ও ভালোবাসা জ্ঞাপন করেন।