পল্লী বিদ্যুৎ উপকেন্দ্র নির্মানের জমিতে অবৈধ ভাবে ভবন নির্মাণ চেষ্টার অভিযোগ
সিরাজদিখান মুন্সীগঞ্জ সংবাদদাতাঃ
মুন্সীগঞ্জের সিরাজদিখানে পল্লী বিদ্যুৎ উপকেন্দ্র নির্মানের জমিতে অবৈধ ভাবে ভবন নির্মাণ চেষ্টার অভিযোগ উঠছে শরিফ হকের বিরুদ্ধে। রবিবার দুপুর উপজেলার মালখানগর ইউনিয়নের তালতলা বাজারে এই পাকা ভবন নির্মাণ বন্ধ করে ইউনিয়ন ভূমি অফিস ও সিরাজদিখান পল্লি বিদ্যুৎ।
সোমবার সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, তালতলা বাজার ডেসার টাওয়ার সংলগ্ন একটি ফাকা জায়গায় ইট দিয়ে বাউন্ডারি করা হচ্ছে। ভবন নির্মাণের জন্য করা বাউন্ডারি ৩সাইডে মাটি থেকে প্রায় ২ফুট উচু করে দেওয়া হয়েছে। অন্য একটি সাইডে প্রায় ৪ ফুট উঁচু করে ভবনের প্রাচীর নির্মাণ করা হয়েছে।
যানাজায়, সিরাজদিখান উপজেলার তালতলা বাজারে এল এ কেস নং-০৯/৭৬-৭৭ মূলে ফুরশাইল মৌজার ৫৫ শতাংশ জমি অধিগ্রহন করা হয়। বর্তমানে সেই জমিগুলোতে বিভিন্ন লোক অবৈধভাবে দখল করে স্থাপনা নির্মাণ করা হয়েছে। এরই ধারাবাহিকতায় রবিবার মৃত আবজল হকের ছেলে শরিফ হক ফুরশাইল মৌজাস্থিত ২৯ নং খতিয়ান ১৫৮৩ দাগে ৪.৬২ একর ভূমিতে জনৈক কর্তৃপক্ষের বিনা অনুমতিতে অবৈধ ভাবে পাঁকা দেয়াল নির্মাণ কাজ করছিল। এছাড়া ঐ জমিটিতে মহামান্য হাইকোর্ট এর রীট পিটিশন নং ৮৫৩২/২০১৯ মামলা চলমান।
শরিফ হক বলেন, এটি তাদের পৈত্রিক সম্পত্তি তারা সামান্য কিছু জায়গা ডেসাকে টাওয়ার তোলার জন্য দিয়েছিল এখন এটি পল্লী বিদ্যুৎ দাবি করে। এ বিষয়ে হাইকোর্টে একটি মামলা চলমান রয়েছে তবে প্রতিপক্ষরা কেউই কোর্টে আসে না।
এ বিষয়ে ইউনিয়ন ভূমি কর্মকর্তা কুতুব উদ্দিন জানান, তিনি সরেজমিনে গিয়ে কাজ করতে নিষেধ করে এসেছেন এবং এসিল্যান্ড বরাবর লিখিত প্রতিবেদন প্রদান করেছেন।
সিরাজদিখান উপজেলা সহকারী কমিশনার ভূমি উম্মে হাবিবা ফারজানা বলেন, আমি নায়েবকে ঘটনাস্থলে পাঠিয়ে কাজ বন্ধ রাখার জন্য বলেছি ও প্রতিবেদন পাঠাতে বলেছি। বিষয়টিতে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
সিরাজদিখান পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির ডিজিএম বাবুল আহমেদ বলেন, বিষয়টি জানার পরেই আমি ঘটনাস্থলে গিয়ে তাদেরকে কাজ বন্ধ রাখার জন্য বলেছি। যথাযথ ব্যবস্থা নেয়ার জন্য উর্দন কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি।
মুন্সিগঞ্জ পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির জিএম হাদি উজ্জামান বলেন, জায়গাটি অধিগ্রহণের মাধ্যমে আমাদের উপকেন্দ্রটি নির্মাণের জন্য দেয়া হয়েছে। আমি আজ সেখানে একজন প্রতিনিধি পাঠিয়েছি ব্যাবস্থা নেওয়া হবে।